A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: রাজধানীর ডেমরা সাজু গ্রীন সিটি এলাকায় মানুষ চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এতে ওই এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক প্লটের মালিক জমিতে আসা যাওয়া করতে পারছেন না। নির্মানাধীণ ভবনের মালামাল আনা নেওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার বিপাকে পড়েছেন ভবন মালিকরা। ডেমরা থানা পুলিশকে বারবার লিখিতভাবে অবহিত করলেও তারা শফিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।

স্থানীয় জানান, ডেমরার সাজু গ্রীন সিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর শফিকুর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মানুষ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে শ্রমিকদের দিয়ে রাস্তা কেটে তিনি সড়ক একমাত্র চলাচলের পথটি বন্ধ করে দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোদাল, কাস্তে হাতে শ্রমিকরা রাস্তাটি কেটে ফেলছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বারবার নিষেধ করলেও তা মানছেন না শফিক। শফিকুর রহমান নিজে ওয়াদা দিয়েও তিনি বরখেলাপ করেছেন। রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ তাই ওখানকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সড়কটি রাখার কথা দিলেও শফিকুর রহমান কথা দিয়ে কথা রাখেন নি।

বিএনপি নেতা কাজী ইসলাম জানান, শফিকুর রহমান একেক সময় একেক কথা বলে। তিনি বলেছিলেন ও ওয়াদাও করেছিলেন মানুষের চলাচলের জন্য সড়কটি থাকবে। তবে তিনি কথার বরখেলাপ করেছেন। ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ডেমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি কোনভাবেই তিনি বন্ধ করতে পারে না।
সাজু ডেভেলারপার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান সাজু জানান,শফিকের মালিকানাধীন দাবিকৃত জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলে আসলেও সে কিভাবে রাস্তা কেটে বন্ধ করে দেয়। আদালতের নির্দেশনা রয়েছে কোন ব্যক্তি এই জমিটিতে কোন প্রকার কাজ করতে পারবে না। অথচ আদালতের নির্দেশ কোন ভাবেই মানছেন না তিনি। তিনি জানান, আমি এই জমিটি ক্রয় করার জন্য জমির মালিকানা ওয়ারিস ও জমির বালু ভরাট বাবদ সত্তর লক্ষ টাকা খরচ করার পরও আমার সাথে প্রতারণা করে শফিক। পরে আমারই লোক কামাল ও আবুল বাসারের নামে জমিটি বায়নাকৃত পঞ্চাশ লাখ টাকা ফেরৎ দেন শফিক। এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও কতিপয় উঠতি বয়সের মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মাটি কেটে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিও দিচ্ছে শফিক ও তার লোকজন। এতে আমি নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে শফিকুর রহমানের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হন নি।

ডেমরা থানার অফিসার্স শফিকুর রহমানের ইনচার্জ জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মানুষ চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা কোনভাবেই যাবে না বলেও জানান তিনি।

আগের সংবাদ দেখুনকলতাপাড়া মাদ্রাসা শীঘ্রই কামিল শ্রেনীতে উন্নীত হবে: ডক্টর ইকবাল ভূঁইয়া
পরের সংবাদ দেখুনজিয়া পরিবার সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র ভরসাস্থল