
নারাযণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা বাসষ্ট্যান্ডের নিউ প্রিন্স চাইনিছ রেস্টেুরেন্ট নামক খাবার হোটেলে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদারের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। গত ১ জুন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিল্লাল হাওলাদারের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার বোয়ালিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম হাকিম হাওলাদার। সে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আড়িয়াবো গ্রামের হাজী সুরুজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নামধারী ছাত্রলীগ নেতা রিফাত, সোহান ও সিফাতসহ তাদের সহযোগী ৪০/৫০ জন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যুবলীগ নেতা বায়েজিতের উপর হামলা চালায়। বায়েজিদ প্রান বাঁচাতে প্রিন্স হোটেলের ভিতরে চলে যায়। এসময় রিফাত ও সোহান হোটেলে প্রবেশ করে বায়েজিদকে লক্ষ্য করে ৫/৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে প্রিন্স হোটেলের বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে বিল্লাল হাওলাদারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় বিল্লালের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে বরপা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা মামলার আসামী রিফাত ওরফে খুনী রিফাত (৩২), সোহান (৩০), সিফাত (২৩),মামুন (২৩), শাওন (২৪), দীপ (২৫), আনাছ ভুইয়া (২০), ফয়সাল ওরফে বোমা ফয়সাল (২৫), রকিব সিকদার (২৫), ফয়জুৃল্লাহ ভুইয়া (২৩) ও অপুৃ সাউদ (৩০) সহ ২১ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।