A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য করায় ওই শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন এই কমিটিতে সাবেক এই সংসদকে ডিমোশন করা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত আহবায়ক কমিটিতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহবায়ক, মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুকে প্রথম যুগ্ম আহবায়ক, মাশুকুল ইসলাম রাজীব, ও শরিফ আহমেদ টুটুল যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করা হয়। অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং পূর্বে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন গোলাম ফারুক খোকন। ২০২৩ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে তারা নেতৃত্বে আসেন। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার আগেই তা বিলুপ্ত করা হয়। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে উক্তি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তাকে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এতে তার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মনে হতাশা নেমে এসেছে। গেল পাঁচ আগষ্টের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গিয়াস উদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তিন নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিএনপির রাজনীতিতে সততা, আদর্শ ও নিষ্ঠার প্রতীক। তার সততার পুরুস্কার হিসেবে দল তাকে জেলা বিএনপির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।

নাসিক ছয় নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভুইয়া নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, রাজনীতি করতে গিয়ে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ একাধিকবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে তাকে। শুধু তাই তাকে হত্যা করার জন্য তার উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এরপরও তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে একপাও সরে দাড়াননি। একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে দল তাকে মূল্যায়ণ করেছেন।

আগের সংবাদ দেখুনআড়াইহাজার থানার ওসির কারিশমা
পরের সংবাদ দেখুননিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ