
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সঠিক সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যথাসময়ে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তর সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নির্দিষ্ট সময়ে জনসাধারণের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাসনাত হুমায়ূন কবির। তার সৃজনশীল চিন্তা আর উদার মন মানসিকতার কারণেই অল্প সময়ে বদলে গেছে দেশের পাড়া মহল্লায় মানুষের ভাগ্যের চিত্র। বিশেষ করে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সঠিক সময়ে স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খেয়ে পড়ে স্ত্রী,সন্তানসহ বেঁেচ আছেন তারা কোটি কোটি গরীব, অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেই আবুল হাসনাত হুমায়ুন কবির তার নিত্যনতুন কর্মযজ্ঞে সবার মন জয় করে চলেছেন। তার সততা, আদর্শ, ন্যায় নীতি, দূরদর্শী নেতৃত্ব, সৃজনশীল ভাবনা আর কাজের দক্ষতা ও সঠিক কাজটি সঠিক সময়ে করার কারনেই খাদ্য সেক্টরে আমূল পরিবর্তণ ঘটেছে। বদলেছে অসহায়, গরীব, সহায় সম্বলহীনদের ভাগ্যও।
খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে দেশের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পৌছে দেওয়া, দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে ৭৬৬টি দোকানের মাধ্যমে প্রতিদিন এক হাজার কেজি করে আটা বিক্রয়ের কার্যক্রম চালু করা, সকল উপজেলায় দুটি করে দোকানে নির্ধারিত দরে খোলা বাজারে আটা বিক্রয় করার ব্যবস্থা। এমন সাহসী উদ্যোগের ফলে দেশের প্রান্তির জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার বাসিন্দারাও সাশ্রয়ী দামে খাদ্যপণ্য ক্রয়ের সুযোগ পেয়েছে। পাশাপাশি বাজারে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ইতোমধ্যে দেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি” এখন আরও সম্প্রসারিত করেছেন খাদ্য অধিদপ্তর। ডিজিটালাইজড হয়েছে। পূবের্র ৫ মাসের পরিবর্তে এখন ৬ মাস (আগষ্ট নভেম্বর এবং মার্চ এপ্রিল) চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই কর্মসূচির জন্য দশ লাখ মেট্রিকটন চালের বাজেট সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৩ লাখে উন্নীত করা হয়েছে, সেই সাথে আরও দুই লাখ নতুন সুবিধাভোগী যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে যা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যান্ত সুখখর খবর। উপকারভোগীদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে চাল উত্তোলনের তথ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতোমধ্যেই। যার ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে সকল ক্ষেত্রে। সবকিছুতেই তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের এখন অনলাইনেই লাইসেন্স নবায়ন ও আবেদন গ্রহণ করছে। এতে অতীতের জটিলতা ও অনিয়মের আর কোন সুযোগগুলো বন্ধ হয়েগেছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থাপনা এখন আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, বর্তমান সময়ে খাদ্য অধিপ্তরের এই সাফল্যের পিছনে যার অবদান অনস্বীকার্য তিনি হচ্ছেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাসনাত হুমায়ূন কবির। তিনি এই অধিদপ্তরে দায়িত্ব নিয়ে যোগদানের পরই ভাগ্য খুলেছে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারীদের। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে হাসি ফুটেছে। ভাগ্য খুলেছে দেশের আনাকে কানাচে, জেলা উপজেলা, পৌর এলাকার গরীব দুঃখির মাঝে।
খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম সংগ্রহে রেকর্ড পরিমাণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান সংগ্রহ: ৩,৭৬,৯৪২ মেট্রিকটন (লক্ষ্যমাত্রার ১০০%), সিদ্ধ চাল সংগ্রহ: ১৪,০৬,৬০৪ মেট্রিক টন (লক্ষ্যমাত্রার ১০০%), আতপ চাল সংগ্রহ: ৫১,৩০৭ মেট্টিকটন (লক্ষ্যমাত্রার ১০০%) এই অর্জন দেশের খাদ্য মজুত সক্ষমতাকে আরও মজবুত করেছে এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈদেশিক সংগ্রহেও এসেছে উল্লেখযোগ্য অর্জন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৮.৫০ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি সম্পন্ন হয়েছে, ২৫ লাখ মেট্রিকটন গম আমদানি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, আরও ৪.৪ লাখ মেট্রিকটন গম আমদানির কাজ চলমান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দুই লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন। ফলশ্রুতিতে দেশের খাদ্য মজুত সক্ষমতা নিরাপদ পর্যায়ে রয়েছে, যা সম্ভাব্য দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতেও খাদ্য ঘাটতি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও একাধিক ঠিকাদাররা জানিয়েছেন, মহাপরিচালক আবুল হাসনাত হুমায়ূন কবিরের সঠিক চিন্তাধারা, সাহসী উদ্যোগ, অসহায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা তার কাজের গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। একজন সৎ, আদর্শ, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমহলে তিনি প্রশংসিত। তার সততা, দৃষ্টিভঙ্গি ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় এসেছে পরিবর্তন ও স্বচ্ছতা। সম্প্রতি তার এই ভালো কাজগুলোকে নিতে পারছিলোনা এক শ্রেনীর অসাধু চক্র। তারা তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার কুৎসা রটাতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। যা কখনোই কাম্য নয় বলে মনে করছেন ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কর্মকর্তারা ও খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন একজন ভালো হৃদয়ের অধিকারী, কাজ প্রেমী ও ভালো কাজে উদ্যোগী মানুষকে কখনোই তার নামে বাজে কথা ছড়িয়ে তাকে ব্যর্থ করা যায় না। তিনি তার কাজের মাধ্যমেই ইতোমধ্যে সকলের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। যেই মানুষটির জন্য আজ খাদ্য সেক্টরের প্রতিটি জায়গা ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় ফিরেছে তার ভালো কাজে যারা ঈর্ষান্নিত হয়ে বিভিন্নভাবে তার সুনামক্ষুন্ন করতে চাইছেন কখনোই তাদের স্বার্থ হাসিল হবে না। কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন তা কখনোই কাজে আসবে না। মহাপরিচালককের সুনাম নষ্ট করতে যারা আজে বাজে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা। তারা বলছেন, ভালো কাজের মাধ্যমে যিনি মানুষের হৃদয়ে বসবাস করছেন তার নামে কখনোই বাজে মন্তব্য করে সুযোগ নেওয়া যাবে না।
দেশের দক্ষিনাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চলসহ একাধিক জেলা পর্যায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আবুল হাসনাত হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন খাদ্য ব্যবস্থাপনায় একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলেছে। তিনি গরীব, অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোটি কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।













