
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ির নিউ লক্ষীনারায়ন কটন মিল এলাকায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় দশ শতাংশ জমি হিন্দু ধর্মালম্বীদের বসবাস ও মন্দির নির্মাণের জন্য জমি প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন নীট কনসান্ট গ্রুপ সোমবার দুপুরে ওই কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ঘোষনা দেন।
কেসি স্পেনিং মিলস এর সিকিউরিটি ইনচার্জ সার্জেন্ট (অব:) আমিরুল ইসলাম জানান, আমাদের কোম্পানীর মালিক সরকার থেকে ১৯৯৬ সালে সাব কাবলা দলিল মূলে ক্রয় করে কেসি স্পেলিং মিল নামে একটি কারখানা চালু করেন।
কয়েক কোটি টাকার অত্যাধুনিক মেশিন ও হাজার কোটি টাকার প্যাজেক্ট চালু করেছেন। কারখানার অভ্যন্তরের একটি জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতি বছর একবার দূর্গা পূজার উৎসব পালন করে থাকেন। সম্প্রতি ঝড়ে তাদের ওই পূজা মন্ডপের ঘরটি ভেঙ্গে যায়। এতে কতিপয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ব্যানার নিয়ে এসে আমাদের কোম্পানীর মালিকের বিরুদ্ধে পূজা মন্ডপটি বুলডেজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ তুলেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ এসে ঘটনার কোন সত্যতা পায়নি।
তিনি বলেন, আমাদের কারখানাটি হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে বাইরের লোকদের প্রবেশে বিধি নিষেধ রয়েছে আমাদের। কিন্তু তারা রবিবার জোড়পূর্বক কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে তান্ডবলীলা চালায়। যা অত্যন্ত দু:খজনক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীট কনসান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম নারায়নগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, আমরা প্রতি বছর ওই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের পূজা পালনসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে থাকি। তারা যাতে সুন্দরভাবে বসবাস ও পূজা পালন করার জন্য তাদেরকে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের দশ শতাংশ জমি তাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমরা ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসায়ী হিসেবে দেশ বিদেশে আমাদের বেশ সুনাম রয়েছে।
একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের কতিপয় লোকদের দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যাতে আমাদের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন হয়। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংবাদকর্মীদের সত্য সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, নীট কনসান্ট গ্রুপের মালিক পক্ষের সাথে হিন্দ্র সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের বসবাস ও পূজা মন্ডপ করার জন্য দশ শতাংশ জমি দেওয়া প্রস্তার দিয়েছে মালিক পক্ষ। এতে আর কোন সমস্যাই থাকবে না বলে মনে করেন পুলিশ সুপার।