নারায়ণঞ্জ ক্রাইম নিউজ: রাজধানীর ডেমরায় কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সচেতনতামূলক র্যালিতে সামনের সারিতে ব্যানার হাতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে কিশোর গ্যাং লিডার ও ৫০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত আসামী এক সময়ের বিএনপি কর্মী মিজানুর রহমান মিজানকে।এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহল ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত বুঝবার(১৪ মে)ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ—পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল হুসাইনের নির্দেশনা ও অতিরিক্ত উপ—পুলিশ কমিশনার (ডেমরা জোন ও ক্রাইম) মাসুদুর রহমান মনিরের নেতৃত্বে কোনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আয়োজনে কোনাপাড়া এলাকায় এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধূসুদন দাসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় র্যালিটি কোনাপাড়া থেকে আল আমিন রোড প্রদক্ষিণ করে।এসময় র্যালিতে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার মিজান ও তার দলবলকে সামনের সারিতে ব্যানার ধরে রাখতে দেখা গেছে।
স্থানীয় ৬৬ নং ওয়ার্ডের আ,লীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকায় বিস্তার অভিযোগ। এলাকায় তার প্রভাব বিস্তারে অসহায় সাধারণ মানুষ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ,লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফের মদদে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলনের সময় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন কিশোর গ্যাং নেতা মিজানুর রহমান মিজান।
গত কয়েকদিন আগে ও ৬৫ নং ওয়ার্ড আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির মাস্টারের জায়গা কেনার জন্য রাখা ৫০ লক্ষ টাকা তার ব্যক্তিগত অফিসে সংঘবদ্ধভাবে হামলা করে মিজানুর রহমান মিজানসহ ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী ছিনতাই করে নিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মনিরুজ্জামান মনির মাস্টারকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।এছাড়া ও এলাকায় জায়গা জমিনের কোন ঝামেলা হলে সেখানে ছুটে গিয়ে প্রভাব খাটান মিজান গংরা।
জানা গেছে, ডগাইর বাজার এলাকায় মিজানুর রহমানের আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে একটি অফিস ব্যবহার করছেন।তার অফিসে বসেই তিনি কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দেন।এলাকায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলে না।
এক সময়ের বিএনপির একনিষ্ট কর্মী বর্তমানে ডগাইর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা, ইট বালু ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী বছিরউদ্দিন ও মধুবাগের হোন্ডা মেকানিক হাসান মিজানের অন্যতম বডিগার্ড।
এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফের ক্যাডার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারওয়ার হোসেন আলোর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান মিজানসহ তার দলবলরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলেন,মিজান রাতারাতি টাকার মুখ দেখে ধরাচোয়ার বাহিরে চলে গেছে।তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করে না। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডগাইর ইউনিটের সভাপতি বলেন,মিজান এক সময় বিএনপি ঘরনার রাজনীতি করতো।সম্মেলনের সময় মিজান নগরের নেতা এফ এম শরিফুল ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে কমিটিতে পদ দেওয়ার নাম করে অনেক নেতা কর্মীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজলের নাম ব্যবহার করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।জায়গা দখল থেকে শুরু করে নানা প্রকার অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে মিজানের।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট প্রচারনা ছড়াচ্ছে একটি মহল। আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।
কিশোর গ্যাং নেতা মিজানের বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম, এ বিষয়ে আমাদের ধারণা ছিল না।অনুষ্ঠান বা সভায় অনেকে এসে পরলে তাকে বের করা ও যায় না।ভবিষ্যতে এ বিষয় গুলো রাখবেন বলে জানান তিনি।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan