A Top Ads

বন্দরের লক্ষণখোলা এলাকায় ‘ডংজি লংজিভিটি’ নামে একটি ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানা এ পুকুরে ‘লক্ষণখোলা দারুসসালাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা’র এতিম ছাত্রদের জন্য মাছ চাষ করা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্যাটারি কারখানা থেকে অ্যাসিড মিশ্রিত বিষাক্ত পানি বর্জ্য হিসেবে পাইপের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। পাইপের লিকেজ দিয়ে এ পানি পুকুরের পানিতে পড়ার কারণে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। ফলে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এ পানি ওজু গোসল’সহ প্রাত্যহিক কাজে মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকরা ব্যবহার করেন। ব্যাটারি কারখানার সিসাযুক্ত ছাই বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।

বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে লক্ষণখোলা, মুছাপুর ইউনিয়নের পাতাকাটা, দাসেরগাঁ এলাকার জমিতে ফসল হচ্ছে না এবং গাছে ফল ধরে না। এর ফলে প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন চোখের অসুখ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। ব্যাটারি কারখানা থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে একটি বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী দূষণের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রায় তিন চার মাস আগে এই ব্যাটারি কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তবে তারা ইটিপি প্লান্ট স্থাপন করেছে বলে জেনেছি। প্রায় ১০০ ফুট উঁচু করে একটি চিমনিও নির্মাণ করেছে তারা।

আগের সংবাদ দেখুনআম্মা চায়, ভাইয়া চায় না নির্বাচন : শামীম ওসমান
পরের সংবাদ দেখুনদিনমজুুুরকে কুপিয়ে জখম