# ছাত্রজনতার উপর দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে গুলি চালানো ব্যাক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট
সাংবাদিকের ছবি রয়েছে”
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ একজন ব্যবসায়ী
নেতা। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি লোকাল পত্রিকা পর পর দুই দিন ধরে যেভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করে চলেছে তাতে ব্যবসায়ী সমাজ অবাক হচ্ছে। কারন ব্যবসায়ী সোহাগ বাংলাদেশ কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচিত একজন জাতীয় নেতা। তাই বিগত সময়ে তার সঙ্গে বিভিন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এমপিদের তোলা ছবি ছাঁপিয়ে পত্রিকাটি হাস্যকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার মাপের একজন ব্যবসায়ী নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের মন্ত্রী এমপিদের সঙ্গে ছবি তুলবেন, ভিডিও করবেন এটাইতো স্বাভাবিক। আগামী দিনগুলিতে নতুন সরকারের মন্ত্রী এমপিদের সঙ্গে তাকে বসতে হবে, ছবি তুলতে হবে, ভিডিও করতে হবে। কিন্তু লোকাল পত্রিকাটি তার এসব ছবি ছাপিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করার চেষ্ঠা করছে বলে
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। ফলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন হলো কারো সাথে ছবি থাকলেই যদি কেউ অপরাধী হয়ে যায় তাহলেতো বাংলাদেশের আরো অনেকেই অপরাধী এমকি সাংবাদিকরাও। কেনোনা তাদের সঙ্গেও নানা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে সাবেক এমপি মন্ত্রীদের ছবি রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন যে পত্রিকাটিতে যে সাংবাদিক ব্যবসায়ী সোহাগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন তার সাথে এই শহরের এমন একজনের ছবি কিছু দিন আগে পত্রিকার পাতায় ছাঁপা হয়েছে যিনি নাকি সাম্প্রতিক আন্দোলনে দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রজনতার উপর গুলি চালিয়েছেন। যার ফলে গুলি চালানো ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে এবং তিনি যে সকল মিডিয়ায় কাজ করতেন সেই সকল মিডিয়া থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর অপপ্রচারকারী ওই সাংবাদিক ছিলেন খুনের মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তির অন্যতম সহযোগী। তাহলে ছবি থাকার অপরাধে সোহাগ সাহেব যদি অপরাধী হন তাহলে আপনি বা আপনারা কি? আপনারাও কি খুনের মামলার আসামী হবেন? তাই আমাদের প্রশ্ন এসব ছবি ছাপিয়ে আপনারা কি প্রমান করতে চান সেটা আপনারাই ভালো জানেন। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ী সমাজ পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই আপনারা এসব হাস্যকর কর্মকান্ড করে আমাদের কাছ থেকে একটি টাকাও নিতে পারবেন না। বরং এসব কেনো করছেন তার প্রমান আপনাদেরকে উপযুক্ত আদালতে দিতে হবে। আমরা আইনের আশ্রয়
নিতে বাধ্য হবো। এদিকে ব্যবসায়ী সোহাগের মালিকানাধীন মীম শরৎ গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন ভুল তথ্যে নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. সোহাগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন তারা। ব্যবসায়িক সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি
চক্র তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হচ্ছে বলেও দাবি
করেন তারা। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতরা বলেন, মীম শরৎ গ্রুপের কর্ণধার মো. সোহাগ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দেশের সকল আইন-কানুন মেনে, বৈধ পন্থায়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অত্যন্ত সুনামের সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছেন তিনি। বৈধ উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করে কোনো ব্যক্তি যদি শতাধিক নয়
হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরের মালিকও হোন, সেটা নিশ্চয়ই আইনের চোখে অপরাধ নয়। তবে, অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার নিশ্চয়ই অপরাধ কর্মকান্ড। তাই সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, সংবাদ পরিবেশনের আগে তা সম্পর্কে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা
উচিত। তারা আরও বলেন, ঐ প্রতিবেদনে মো. সোহাগকে দুইজন মন্ত্রীর আশির্বাদ পুষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো, ব্যবসার প্রয়োজনে শুধু এই দুই
মন্ত্রীই নয় অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথেও তার যোগাযোগ ছিলো, যা শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক স্বার্থেই ছিলো। এর চেয়ে বেশী কিছু নয়। এদিকে, নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মো.
সোহাগ একজন অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী ব্যবসায়ী এবং একজন ধর্মভীরু মানুষ। অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও সে নিজে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সকল
ব্যবসার খোঁজ খবর নেয়। আমরা সবাই তাকে, সৎ মানুষ হিসেবেই চিনি। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনেকেই মাঝে মাঝে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু সেই সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হলেই ঐ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। আমরা নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীরা মনে করি, গতকাল একটি পত্রিকায় সোহাগকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার পেছনেও অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পারার বিষয়টি জড়িত। এছাড়াও, ঐ পত্রিকাটি প্রায়ই মানুষের চরিত্রহনন করে মিথ্যা ও
বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে থাকে বলেও জানান তারা।
