হাসান মজুমদার বাবলু, নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ:
নারায়ণগঞ্জ। বাংলাদেশের প্রাণ কেন্দ্র। ঢাকার কোল ঘেষে গড়ে উঠা এক ঐতিহাসিক জনপদ। প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত এই নারায়নগঞ্জে রয়েছে অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যমন্ডিত আলোচিত জেলা শহরের এক আলোচিত চরিত্র একেএম শামীম ওসমান। নারায়নগঞ্জের ইতিহাসে উন্নয়ণের পরতে পরতে যার নাম সোনালী অক্ষরে গাঁথা। বিশ্বের যত আলোচিত চরিত্র, সকলই যে সমভাবে সকলের কাছে সমাদৃত ছিলেন তা নয়,তার ব্যতিক্রম নয় এই শামীম ওসমান। মানুষ ইতিহাস পড়ে, তিনি রচনা করেন।
শামীম ওসমান মূলত অন্ধকারাচ্ছন্ন নারায়নগঞ্জকে আলোচিত করার জন্য যতটা না আলোচিত তার চেয়ে বেশী আলোচিত ধর্মান্ধ জঙ্গীবাদ গোষ্ঠীকে শক্তহাতে দমনের জন্য।
এক সময়কার অন্ধকার গলির রক্তাক্ত জনপদ এখন আলোর কিরণে জ্যোতিময়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গীবাদ, অসামাজিক কার্যকলাপ বোধে যার ভুমিকা অসীম। একসময়কার শামীম ওসমান একজন বলিষ্ট সিংহ পুরুষ হলেও এ কালের শামীম ওসমান ধর্মভীরু, খোদাভীরু, মানবদরদী, মানবপ্রেমী, গরীবের বন্ধু, অসহায়ের সহায়, ন্যায় ও শান্তির প্রতীক।
নারায়নগঞ্জ আওয়ামীলীগের কান্ডারী। একজন দক্ষ সংগঠক। দৃঢ়চেতা শামীম ওসমান স্থানীয়দের কাছে কোমলতার এক মূর্ত প্রতীক। তিনি আধুনিক নারায়নগঞ্জের রুপকার। নারায়নগঞ্জবাসীর অতি আপনজন। যাকে কাছে পেয়ে অসহায় পায় সহায় আর পাপিষ্ঠরা পালিয়ে বেড়ায়।
সিংহ পুরুষ শামীম ওসমান ডিজিটাল নারায়নগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার। এ জেলার ইতিহাসে এমন দাপটে পুরুষ কমই এসেছে। আপামর জনতার হৃদয়ে একটি নাম এ. কে.এম. শামীম ওসমান। যিনি দেশ ও দেশের বাইরেও সমানভাবে সমাদৃত। প্রাচ্যের ড্যান্ডি নামে পরিচিত নারায়নগঞ্জ জেলায় এ যাবৎ কালে যত গুরুত্বপূর্ন কর্মযজ্ঞ হয়েছে তার প্রতক্ষ-প্ররোক্ষ শামীম ওসমানের।
শামীম ওসমান এ যেন অন্ধকারের আলোর ছটা, আলোর দ্যুতি। বিশেষত অন্ধকার গলির রাজনীতি জঙ্গিবাদকে মদদ দিয়ে যারা এ অঞ্চল অশান্ত করতে চেয়েছিলো তাদের শক্ত হাতে দমন করে আলোচিত তিনি। তিনি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শস্তিতে রেখেছেন তিনি-দাবি এ অঞ্চলের মানুষের। এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ নারায়ণগঞ্জ এখন শাস্তির পরশে হৃদয় বিদিন্ন সাম্যের প্রতীক।
উন্নয়ণ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা কোন কিছুই বাদ যায়নি তাঁর ব্যক্তিগত খাত থেকে শুরু করে সরকারি বরাদ্ধের দান অনুদান থেকে।
১৯৬২ সালে ঐতিহাসিক ও সম্ভান্ত মুসলিম পরিবার একেএম সামসুজ্জোহা ও নাগিনা জোহা দম্পতির ঘরে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। যার তিন পুরুষই বৃটিশ আমল থেকে রাজনীতির সঙ্গে উৎপত ভাবে জড়িত। শামীম ওসমানও রাজনীতির সাথে ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত হন। দাদা খান সাহেব ওসমান আলী, বাবা শামসুজ্জোহা ও বড় ভাই নাসিম ওসমানের মতোই ৮০’র দশক থেকে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এ কে এম শামীম ওসমান। শামীম যখন অস্টম শ্রেণীর ছাত্র, সে সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে পোস্টার লাগাতে গিয়ে পুলিশের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ৮০’র দশকের প্রথমভাগে তোলারাম কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু তার জীবন। ৮১ সালে তিনি এই কলেজে ভিপি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার শত্রুদের ব্যাপারে আপোষহীন এ নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কাঁপিয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার কারা নির্যাতিত হয়েছেন। পরবর্তীতে শহর আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২ হাজার ৬ ‘শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। পার্লামেন্টে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শে স্বাধীনতা বিরোধীদের নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। নারায়ণগঞ্জের কলংক টানবাজার পতিতাপল্লী উচ্ছেদ ও পতিতাদের পুনর্বাসন করে আলোচিত হয়েছিলেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ডিজিটাল টেলিফোন, লিংক রোড নির্মাণ, সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সমস্যার সমাধান, বক্তাবলীতে বিদ্যুৎ সংযোগ, তোলারাম কলেজে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালু, ফতুল্লায় মডেল থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নব ভবন ,রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, নতুন আদালত ভবন, জেলা কারাগার নির্মাণ ও ডিএনডি প্রজেক্ট এ কে এম শামীম ওসমানের এমপি থাকা সময়ে বড় কাজগুলোর অন্যতম।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan