A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তিন নাম্বার ওয়ার্ড মুক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ এক সময় আওয়ামীলীগের পতাকাতলে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে থেকে দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। দীর্ঘ ষোল বছর ধরে আওয়ামীলীগের শাসনামলে পুরো এলাকা দাপিয়ে বেড়ালেও সময়ের পালাবদলে গত পাঁচ আগষ্ঠ আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর হঠাৎ বিএনপির নেতা হতে চাইছেন এমনই গুঞ্জুন চলছে ওই এলাকাজুড়ে।

এলাকাবাসীরা জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও সিটি কর্পোরেশনের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। আবু সাঈদ নিজেকে ইঞ্চিনিয়ার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। কাজের কাজ কিছু না করতে পারলেও টাকা হাতানোর বিষয়ে তিনি বেশ পটু। অনেক ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় নি। গত পাঁচ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতন হওয়ার পর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিলেও আবু সাঈদ রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তিনি এখন বিএনপির নেতা সেজে পূর্বের ন্যায় পুরো এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা। এক সময়ের কাউন্সিলর বাদলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে বাড়ি গাড়িসহ অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন আবু সাঈদ। সময়ের ব্যবধানে ভোল্ট পাল্টিয়ে তিনি বর্তমানে পুরো এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন লোকদের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করছেন তিনি। এতে এলাকার নিরিহ মানুষ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুক্তিনগর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, কিছুদিন আগেও আবু সাঈদ ছিলেন আওয়ামীলীগের লোক। হঠাৎই তিনি এলাকায় হয়ে গেছেন বিএনপির নেতা। তবে এই পাতি নেতাদের বিএনপি মূল্যায়ণ করবে কিনা সেটাই ভাবার বিষয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এত দিন কাউন্সিলর বাদলের পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষকে অত্যাচার করেছে এখন বিএনপির পরিচয়ে মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করবে। আমরা এই নামধারী বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাঈদের হাত থেকে মুক্তি চাই।

কিবরিয়া মিয়া নামে এক বাসিন্দা জানান, ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ বিশাল মাপের প্রতারক। মানুষকে বোক বানিয়ে ছলেবলে কুটকৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার কাছ। নেতাদের নাম বেঁচে এলাকায় প্রভাব খাঁটায়। এতদিন কাউন্সিলর বাদলের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন এখন বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম বিক্রি করে চলছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, যারা দীর্ঘ ষোল বছর জেলজুলুম খেটে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী পালন করেছেন তারাই এবার মূল্যায়িত হবেন। এছাড়া আওয়ামীলীগের দালাল নব্য বিএনপি এমন কাউকেই দলে জায়গা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি যারাই বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় পাড়া মহল্লায় অপরাধ সংগঠিত করবে তাদের কোন ছাড় নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, কোন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ব্যক্তি যদি এলাকায় কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আগের সংবাদ দেখুনআড়াইহাজারে সাবেক সাংসদের ফোনালাপ ফাঁস
পরের সংবাদ দেখুননারায়ণগঞ্জের ডেঙ্গু মশার বিস্তার