A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার পর সংঘর্ষের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নন বলে জানিয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। এমনকি ঘটনার দিন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এক যুবককে গুলি করতে দেখা যায়, ওই যুবককেও চেনেন না বলে দাবি করেন তিনি। যদিও ওই যুবকের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে বিভিন্ন স্থানে প্রচার করা হচ্ছে বলে জানান সাবেক এ ছাত্রদল নেতা।

শনিবার দুপুর তিনটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রাকিবুর রহমান সাগর। এই সময় তিনি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে দায়ী করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আদমজী ইপিজেডের ভেতরে একটি পোশাক কারখানার সামনে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে আদমজী এলাকায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল।

ওইদিন আহত কয়েকজন ছাত্রদল নেতাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংঘর্ষের ঘটনায় নিজে জড়িত নন দাবি করে সাগর বলেন, “ঘটনার দিন আমি ব্যক্তিগত কাজে সোনারগাঁ ছিলাম। আমি হঠাৎ ফোনে জানতে পারি, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মানিক মিয়া, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আরিফকে রাম দা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলে রাখছে। এই খবর পেয়ে আমি দ্রুত এলাকায় আসি। পরে আমি থানায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেবার কথা বলি। কিন্তু আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।”

এ ছাত্রদল নেতা আরও বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুন্নাকে ধরে পুলিশে দেয় ছাত্রদলের নেতারা। মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলায় অংশ নিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও রয়েছে। তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কারণে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর ক্ষুব্দ ছিল মতি ও তার অন্যতম সহযোগী আশরাফের লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের উপর হামলা চালায় তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-বিএনপির সংঘর্ষ’ শিরোনাম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সাবেক এ ছাত্রদল নেতা বলেন, “এই ঘটনার সাথে বিএনপি বা ছাত্রদলের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী সন্ত্রাসী ছাত্রদলের উপর হামলা করে। পরে তারা স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘরেও হামলার প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসী, আহতদের স্বজনরা মিলে তাদের প্রতিহত করে। অনেকে বলেছে, এটা বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ কিন্তু এটা ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার দিন এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, ওই যুবকের নাম সোহাগ।

সোহাগ নামে এই যুবককে চেনেন না জানিয়ে রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, “আমি নিউজের মাধ্যমে জেনেছি, যে ছেলেটি গুলি করেছে তার নাম সোহাগ। সে বিএনপি বা অন্য কোন সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত না। তার কোনো পদ-পদবি নেই। তাকে তৃতীয় পক্ষ বিএনপির উপর দোষ চাপানোর জন্য এটা করেছে। অনেকে ছেলেটিকে আমার ভাই বললেও ছেলেটি আমার কেউ নয়। আমাকে বিতর্কিত করার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন এই কথা চাউর করেছে। অথচ আমি তাকে চিনিও না।”

হামলার ঘটনায় আহতরা মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

আগের সংবাদ দেখুনঅগ্নি দগ্ধে দুইজনের মৃত্যু
পরের সংবাদ দেখুনচাঁদার দাবিতে প্রাণ নাশের হুমকি