
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ অবশেষে হকার উচ্ছেদ ও শহরের যানজট নিরশসসহ বিভিন্ন ইসুতে একমঞ্চে দেখা গেল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি ও নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে। শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই গোলটেবিল বৈঠকে শহরের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা নিরসনে একমত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তাদের পাশাপাশি সমস্যা নিরসনে অচিরেই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হক, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের ৭ম তলায় আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্যে শুরুতেই মেয়র আইভী বলেন, আমরা এখানে যারা উপস্থিত হয়েছি, তারা সবাই মিলে কাজ করলে জেলায় কোনো সমস্যা থাকবে না। শহরের যত্রতত্র হকার থাকতে পারবে না, এটা আজকে আমার বড় দুই ভাই (সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান) আজকে আমাকে কথা দিয়ে যেতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ শহর বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে। মৌমিতা পরিবহনের বাসগুলো প্রচণ্ড দাপটের সাথে রাস্তা দখল করে বসে থাকে। ট্রাফিক পুলিশের কাজই হলো যানজট নিরসন করা৷ এটা তো তারা মেয়র বা এমপিদের প্রতি চাপিয়ে দিতে পারে না।
তিনি বলেন, আমি বারবার ট্রাফিক পুলিশকে অবৈধ স্ট্যান্ডের তালিকা দিই, কিন্তু সেগুলো উচ্ছেদ হয় না। ৬০০ হকারকে পুনর্বাসন করেছি আমরা। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এসব নিয়ে কথা বলছি। সেই ৬০০ হকার দোকান বিক্রি করে এখন রাস্তায়। পুরো শহর হকারদের দখলে। আমি কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। এসপি বললেন, তিনি যানজটের ভয়ে নিতাইগঞ্জে সরকারি বরাদ্দের বাসায় থাকেন না। তাহলে আমরা যারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করি, তারা কী করব। সিটি কর্পোরেশনের কী করতে হবে আপনারা আমাকে জানান। প্রশাসন মেয়রের কথা শোনে না সারা বাংলাদেশেই। তারা এমপিদের কথা শোনেন।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, প্রশাসনকে প্রশাসনের মতো করেই চলতে হবে। হকারদের উঠিয়ে দিলে এরা কোথায় যাবে, কোথায় ঘুমাবে এই চিন্তা প্রশাসনের করলে হবে না। কোনো না কোনোভাবে তাদের রিজিকের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে স্বজনপ্রীতিটা বেশি আছে। কঠোর থেকে কঠোরতম হতে হবে। গত ১০ বছরের চেষ্টার পরে আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। আজকে এখান থেকে বসেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী কী করতে হবে। প্রশাসনকে বলতে চাই, স্ট্যান্ডগুলোকে খালি করেন, এরপর নোটিশ দেন যে ফুটপাতে কোনো দোকান থাকবে না। শহরে কয়টি বাস আছে, টেম্পুগুলো কার, স্ট্যান্ড কে চালায়, সেই হিসেব আমাকে দিন। মেয়র চাচ্ছেন রাস্তাগুলো আগে খালি করা হোক। ইনশাআল্লাহ নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যন্ত শান্তিতে থাকবে, কথা দিচ্ছি৷ রোজার আগেই রাস্তাঘাট খালি হয়ে যাবে। এখানে শামীম ওসমান সাহেব আছেন। উনার শক্তি আছে, কর্মী বাহিনী আছে, উনি চাইলেই সম্ভব। আমরাও তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করব৷